নিখোঁজ হচ্ছে
-সুমিত মোদক
একের পর এক নিখোঁজ হয়ে যাচ্ছে;
নিখোঁজ হচ্ছে ষোড়শী, অষ্টাদশী, চাঁদ …
আর, আমরা খুঁজে চলেছি চাঁদের কলঙ্ক,
পূর্ণিমার রাত;
এখন ঘোর অমাবস্যা, এখন নিশুতি রাত;
রাত পাহারায় রাজা হরিশচন্দ্র,
শ্মশানে শ্মশানে জ্বালে চিতাকাঠ , কোজাগরী চাঁদ, গভীর শোক …
যে মেয়েটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল টিউশন পড়তে;
যে মেয়েটি তার অসুস্থ বিধবা মায়ের ওষুধ কিনতে বেরিয়ে ছিল …
তাদের খোঁজ দেবে কে!
যে মানুষ সারাটা জীবন ধরে নিজেরই খোঁজ রাখতে পারেনি,
সেই ডোম হরিশ্চন্দ্র খোঁজ রাখবে কিভাবে!
যে কি না, নিজের ছেলের মৃতদেহ দাহ করার জন্য টাকা চায়,
তার কাছে বাস্তব আর পরাবাস্তবের কোনও পার্থক্য থাকে না;
রাজা হরিশচন্দ্র ডোম হয়, মরা পোড়ায়,
জাগায় রাত .…
অথচ, দিনের আলোয় একের পর এক
ষোড়শী, অষ্টাদশী .…
নিখোঁজ হয়ে যায় সভ্য সমাজের মুখোশ-মানুষের গোপন অভিলাষে;
আশেপাশের লোকজন কানাঘুষো করে,
চাঁদের কলঙ্ক খোঁজার চেষ্টা করে;
কিন্তু, কেউ উঁকি দিয়ে দেখে না সামনের অমাবস্যার রাত;
যে রাতে চরাচর জুড়ে কেবল প্রেতের ছায়া,
আর অসহায় মেয়ের আর্তনাদ;
কেবলমাত্র মেয়ের মা জানে কিভাবে আগলে রাখতে হয় সদ্য ফোটা ফুল, ভবিষ্যতের বীজ।।